সম্পাদক
আবদুর রহমান
ষ্টাফ রিপোর্টার :
বাগেরহাটে পরীক্ষার ফিসে’র জন্য চাপ দেওয়ায় অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৪) আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৯ টায় জেলা সদরের বারাকপুর (যুগিধার পাড়) গ্রামে। মৃত স্কুল ছাত্রী মুক্তা মন্ডল ষাট গম্বুজ ইউনিয়নের বিএসসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। সে ওই এলাকার হতদরিদ্র মহাদেব মন্ডলের মেয়ে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, মুক্তা মন্ডল দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হলেও সে অত্যন্ত মেধাবী। তিন চার দিন আগে স্কুলে গেলে তাকে পরীক্ষার ফিস দেয়ার জন্য স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা মনজু রানী দাস চাপ প্রয়োগ করেন। এরপর থেকে সে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়ে এসে পরিবারের সাথে নাস্তা খায়। এরপর সকলের অগচরে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। কিছুক্ষন পর তার মা শ্যামলী রানী মন্ডল ঝুলতে দেখে ডাকচিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন এসে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে তার চাচা উদ্ধব মন্ডল বলেন, তিন চারদিন ধরে অনুভব করছি যে মেয়েটির মন খুব খারাপ। কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে কিছু বলেনি। সকালেও দেখলাম প্রাইভেট পড়ে এসে সবার সাথে চা খাচ্ছে। খানিক সময় বাদে তার মায়ের ডাক চিৎকার শুনে আমি দৌড়ে গিয়ে মুক্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সে অত্যন্ত বিনয়ি ও খুব ভালো একটি মেয়ে।
ঘটনার সত্যতা জানতে স্কুল শিক্ষিকা মঞ্জু রানী দাসের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, মুক্তার মৃত্যুর ঘটনা শুনেছি। আমি তাকে পরীক্ষার ফিসে’র জন্য কোন ধরণের চাপ প্রয়োগ করিনি বরং সে তিন চার দিন ধরে স্কুলে আসছিল না।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নিহত মুক্তার বাবা বাগেরহাট সদর থানায় এসে জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষিকা মঞ্জু রানী দাস পরীক্ষা ফিসে’র জন্য তার মেয়েকে চাপ দেয়ার কারণে আত্মহত্যা করতে পারে বলে তার দাবি। এ ব্যাপারে থানায় এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মুক্তা মন্ডলের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে রাখা হয়েছে।