সম্পাদক
আবদুর রহমান
ষ্টাফ রিপোর্টার :
ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের উপকূলীয় শহর জেদ্দা। এরই মধ্যে দুজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) তুমুল বর্ষণের কারণে জেদ্দায় বিমানের ফ্লাইটসূচিতে পরিবর্তন ও স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জেদ্দা শহরটি ইসলাম ধর্মের প্রথম পবিত্র স্থান মক্কার ‘প্রবেশদ্বার’ নামে পরিচিত। প্রতিবছর যারা হজ করতে যান তাদের এই শহর দিয়েই মক্কা নগরীতে প্রবেশ করতে হয়। ভারি বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যার কারণে প্লাবিত শহরটির বেশিরভাগ এলাকা। ডুবে আছে শহরটির অনেক ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
শহরটির দক্ষিণাঞ্চলে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ৬ ঘণ্টায় ১৭৯ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর। এরই মধ্যে ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনাও। দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শহরটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে জেদ্দার আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বেশকিছু ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফ্লাইটের নির্ধারিত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
জেদ্দার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির ব্যাপারটি বিবেচনায় রেখে জেদ্দা, রাবিফ ও খুলাইসের বিভিন্ন স্কুল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
এদিকে ভারি বৃষ্টির কবলে সৌদি আরবের পবিত্র শহর মক্কাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায় কাবা শরিফের ভেতরে বৃষ্টির পানি সরানোর কাজ করছেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে মক্কায় যাওয়ার দুটি সংযোগ সড়কও বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। যদিও পরে পানি কমে যাওয়ায় সড়ক দুটি চালু করে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মরুভূমির দেশ সৌদি আরবের অধিকাংশ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি বেশ বিরল। তবে প্রতি বছরই শীত মৌসুমে জেদ্দা ও তার আশপাশের এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হয়। এর আগে জেদ্দায় ২০০৯ সালে ভয়াবহ বন্যায় ১২৩ জনের মৃত্যু হয়।