সম্পাদক
আবদুর রহমান
ষ্টাফ রিপোর্টার :
শেখ হাসিনা বলেন, “ভোগ্যপণ্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকেও (পণ্য) আমদানি শুরু করেছি।”
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, আওয়ামী লীগ সমর্থক কিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধে সমস্যা রয়েছে। তবে, সরকার একটি বিকল্প ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো পর্যাপ্ত রিজার্ভ এখনও বাংলাদেশের কাছে রয়েছে।” রিজার্ভ নিয়ে সরকারের সমালোচকদের তিনি বলেন, “এখন সবাই রিজার্ভ ও অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ হয়েছেন।”
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের সময় রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ৪৮০০ কোটি ডলার হয়। ২০০৯ সালে এর পরিমাণ ছিল পাঁচশ’ কোটি ডলারের কিছু বেশি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান যে মহামারী মোকাবেলায়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, টেস্টিং কিট ও অন্যান্য সম্পর্কিত উপকরণ সংগ্রহ করতে রিজার্ভ থেকে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পর সরকারকে এখন উচ্চমূল্যে ভোজ্য তেল, গম ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “ভোগ্যপণ্য নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই রিজার্ভ কমেছে। তিনি আরও বলেন, “এখন একটি গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে ব্যাংকে টাকা নেই এবং গ্রাহকরা তাদের আমানত ফেরত পাবেন না।”
শেখ হাসিনা বলেন, “এই গুজবের কারণে অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রেখে দিচ্ছেন। ঘরে টাকা রাখলে চোরের জন্য সুযোগ তৈরি হয়, তাই না?… এখন এটা টাকার মালিকদের ব্যাপার; তারা এটা ব্যাংকে রাখবে নাকি চোরদের হাতে তুলে দেবে।