সম্পাদক

আবদুর রহমান

নিউজ ডেস্ক:

কাতার বিশ্বকাপ জন্ম দিয়ে চলেছে একের পর এক নতুন অঘটনের। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এই প্রথম আফ্রিকার কোনো দলের কাছে হারল ব্রাজিল। গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই নকআউট নিশ্চিত করে ফেলায় ক্যামেরুনের বিপক্ষে ব্রাজিল একাদশে ছিল পরিবর্তনের ছড়াছড়ি। রক্ষণে এদার মিলিতাও ও মাঝমাঠে ফ্রেডকে ছাড়া আগের ম্যাচের শুরুর একাদশের ৯ জন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেন ব্রাজিলের কোচ লিওনার্দো তিতে। তিতে বেঞ্চের শক্তি পরখ করে নেয়ার উদ্দেশ্যেই এই ব্যাপক রদবদল করেন। ক্যামেরুনের বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেন ৩৯ বছর বয়সী দানি আলভেস। এতে করে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সবচেয়ে বয়সী খেলোয়াড় ও অধিনায়কের রেকর্ড গড়েন এ রাইট ব্যাক। নতুন চেহারার একাদশ নিয়েও ক্যামেরুনের বিপক্ষে নিজেদের আক্রমণাত্মক ঢংয়ে শুরু করে ব্রাজিল। ১৪তম মিনিটে গাব্রিয়েল মার্তিনেলির শট ঠেকিয়ে ক্যামেরুনকে নিরাপদে রাখেন গোলকিপার ডেভিস এপাসি। বিরতির আগে আরও দুইবার গোলের কাছাকাছি গিয়েছিল ব্রাজিল। ৩৪ মিনিটে আলভেসের জোরালো শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। আর চার মিনিট পর অ্যান্টনির শট বিপদে ফেলতে পারেনি এপাসিকে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মার্তিনেলির আরেকটি শট ঠেকিয়ে ব্রাজিলকে হতাশ করেন ক্যামেরুনের এ গোলকিপার। বিরতির ঠিক আগে ক্যামেরুন দারুণ এক সুযোগ পায়। বাম প্রান্ত দিয়ে মুমি এনগামেলুর ক্রসে ব্রায়ান এমবেমুর জোরালো হেড রুখে দেন ব্রাজিলের গোলকিপার এদারসন। দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক সুযোগ পায় ব্রাজিল, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। ৫৭ মিনিটে মিলিতাও এর শট পোস্টে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অতিরিক্ত সময়ে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল বের করে নেয় ক্যামেরুন। ৯২ মিনিটে জেরোম এমবেকেলির পাস থেকে ব্রাজিলকে চমকে দেন ভিনসেন্ট আবুবাকার। তবে আগেই হলুদ কার্ড পাওয়া আবুবাকার, গোলের পর জার্সি খুলে উদযাপনের জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। শেষ মুহূর্তে ১ গোল হজম করে আর ম্যাচে সমতা ফেরানোর সময় পায়নি ব্রাজিল। ফলে বিশ্বকাপে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পায় তিতের শিষ্যরা।