রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৫২জনের মধ্যে নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত তৌহিদুর রহমান তৌহিদ এবং মাহফুজার রহমানসহ ১৭জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাকি ৩৫জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি নূরে আলম।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক আল-মাহিদুল ইসলাম জয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মোটর সাইকেলে ৩ ডিসেম্বর রাতে সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসভবনে যান। রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে পৌঁছার পর ওই দুই নেতা কর্মীদের বাইরে রেখে অধ্যক্ষের বাসভবনের ভেতরে যান। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ক্যাম্পাসে পৌঁছার আগেই আসামীরা ওৎঁ পেতে ছিল। তাদেরকে দেখার পর আসামীরা গালিগালাজ করে। নিষেধ করায় তারা লাঠি-সোটা এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আঘাত করে। এতে নবগঠিত জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান এবং বগুড়া পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাব্বিরসহ কয়েকজন আহত হয়।
মামলার বাদী বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা বলেন, শত্রুতাবশত তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় আহতদের মধ্যে আতিকুর রহমান আতিক ও মোঃ সাব্বিরের অবস্থা গুরুতর। আমরা এখন আইনী পথে লড়বো।
বগুড়া সদর থানার ওসি নূরে আলম জানান, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।