নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের ইউ,আর,এইচ,এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব উত্তম কুমার দাসের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি, ঘুষ গ্রহন ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগি,সচেতন অভিভাবক সহ এলাকাবাসী।সোমাবার(৫ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ভূক্তভোগীদের পক্ষে স্থানীয় রহিমপুর বাজারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। আঃ গনি মোড়লের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত এ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের সাবেক সদস্য সঞ্জয় মজুমদার, শহীদুজ্জামান মোড়ল, দিনু মজুমদার, বিদ্যালয়ের পিটিআই সদস্য মীর ইদ্রিস আলী, মো: বাচ্চু মোড়ল, ভুক্তভোগী মো: মোক্তার হোসেন সহ অন্যান্যরা।মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ পেতে নগদ ৭ লক্ষ টাকা প্রদান করেও চাকুরি পাননি স্থানীয় অসহায় চা-দোকানি মো: মোক্তার হোসেন। তারা আরো বলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক নৈশ প্রহরী দিনু মজুমদারের মেয়ে কমলা মজুমদারকে আয়া পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে প্রধান শিক্ষক উত্তম দাশ ৪ লক্ষ টাকা গ্রহন করলেও তার চাকুরী হয়নি। এসব টাকা ফেরৎ পাওয়ার পাশাপাশি তারা ঘটনার তদন্তপূর্বক তার শাস্তির দাবি করেন।এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি জড়িত অন্যান্যদেরও শাস্তি দাবি করেন।এসময়
ভূক্তভোগী মোক্তার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, উপজেলার ইউ,আর,এইচ,এস উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষকসহ নৈশ প্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদের জন্য গত ১৩ জুলাই ২০২২ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর নির্ধারিত ৫ নভেম্বর চাকরি প্রার্থীদের লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ডাকযোগে এ্যাডমিট কার্ড পাঠানো হয়। এর আগে তিনি নৈশ প্রহরী পদে আবেদনপূর্বক চাকুরী পেতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে ৭ লক্ষ টাকা প্রদানের চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী ৩ কিস্তিতে স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের সাক্ষীদের উপস্থিতিতে সমুদয় ৭লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন।এরপর পরীক্ষার আগে গত ৩ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক মোক্তারকে ডেকে চাকুরি পেতে
অতিরিক্ত আরও ৩লক্ষ টাকা দাবি করেন। তবে তিনি দাবি অনুযায়ী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে প্রদেয় টাকা ফেরৎ চান। এসময় অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক ফের তাকে চাকুরী প্রদানে পূর্ণ আশ্বাস দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে বলেন। সর্বশেষ গত ৫ নভেম্বর পাইকগাছা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় মোক্তার হোসেনের কাংখিত নৈশ প্রহরী পদে তাকে বাদ দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রশান্ত সরকার নামে অপর এক প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করেন। পরে স্বাক্ষীদের সাথে নিয়ে তিনি প্রধান শিক্ষকের নিকট গেলে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ৬ লক্ষ টাকা পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও নানা তালবাহানার মাধ্যমে সময় ক্ষেপন করায় কোন উপায়ন্ত না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- সি,আর নং-১২৬৯। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই’র তদন্তাধীন রয়েছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার দাসের সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।