স্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই উৎসবে মেতেছেন চাষিরা। বড়লেখা উপজেলায় হাকালুকি পাড়সহ পুরোদমে চলছে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ।

আবার অনেক জায়গাতেই বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে এখনও দোল খেতে দেখা যাচ্ছে সোনালী ধানে। ধান কাটা-মাড়াইয়ে কৃষকের পাশাপাশি দিনমজুরদের মাঝেও বেড়েছে চরম ব্যস্ততা।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারে উপজেলায় ৬১ হাজার ৬৯৮মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হতে পারে। আর ধানের উৎপাদন ও মূল্য ভালো পাওয়ায় কৃষকরাও বেশ খুশি।

সরজমিনে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও ধান কাটা মাড়াই চলছে। কেউ কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আবার কিছু মাঠে কেবল ধানের হলুদ বর্ণ ধরেছে। কৃষকরা বলছেন, স্থান ভেদে বিভিন্ন সময়ে চারা রোপণের কারণে এ অবস্থা। আর কৃষি বিভাগের মতে, সাধারণত বছরের জুন মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত রোপা আম ধান চাষাবাদের মৌসুম ধরা হয়। এ সময়ে আগে-পিছে যারা যে সময়ে চারা রোপণ করবেন, সেই অনুযায়ী ধান পরিপক্ক হবে।

বড়লেখা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় রোপা আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১২৩২০ হেক্টর জমিতে এবং চাষাবাদ হয়েছে ৮৬৪৫ হেক্টর । আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৩১০ মেট্রিক টন। ৪৫% জমির ফসল ইতোমধ্যে কৃষকের গোলায় উঠে গেছে। ফলন ভালো না হলেও ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা ভাটিটানে রয়েছে।

কৃষকরা জানান, এবার বন্যার পানি ও বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় ফসল চাষাবাদে কিছুটা বিপত্তি ঘটেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। আর ধান কাটা মাড়াইয়ে খরচ বেশি পড়ছে। বাজারে ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। পর্যাপ্ত সেচ সুবিধা বা বন্যার পানি সময়মত পেলে ফসল চাষাবাদ আরও লাভজনক হতো।

স্থানীয় কৃষি শ্রমিক, আব্দুল আলিম বলে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা বেকায়দায় পড়েছেন। তাই এবার দুই বেলা খেয়ে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫৫০ টাকা দরে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন।

ধান মাড়াই শ্রমিকরা জানান, প্রতি বিঘা জমির ধান মেশিনে মাড়াই করতে স্থান ভেদে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে