সম্পাদক

আবদুর রহমান

ষ্টাফ রিপোর্টার :

কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের মধ্যম শিয়া পাড়ার ডালিয়া আক্তার নামের যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বিয়ের আগে লাশ হলেন তিনি। নিহত ডালিয়া এলাকার মৃত ইসমাইলের মেয়ে ও আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।(বুধবার) সন্ধ্যায় তার মৃতদেহ বসত বাড়ি থেকে উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পরেরদিন দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহত ডালিয়ার ভাই মামুন বলেন,একই ইউনিয়নের উত্তর মাইজ পাড়া এলাকার ওয়াহেদুল হকের ছেলে আবদুল্লাহ আল আওয়াদের সঙ্গে সামাজিক ভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়।যথারীতি গতকাল বোনের কাবিনের দিন ধার্য্য ছিল। এ লক্ষে বাড়ির সবাই কাজী অফিসে চলে যায়। এই সময়ে হবু স্বামী আবদুল্লাহ আল আওয়াদ বাড়িতে এসে বোনকে গলাটিপে হত্যা করে।

মামুন আরো বলেন, কাজী অফিসে কনের পক্ষে লোকজন অপেক্ষামান ছিল, কিন্তু বরের পক্ষে কেউ আসেনি। ঐ সময়ে কাজীর নির্দেশে তিনি বাড়িতে কনের আইডি কার্ডের জন্য গেলে হত্যাকান্ডের দৃশ্য দেখতে পান বলেও জানায়। এ সময় অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল আওয়াদ আমার পায়ে ধরে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে বলে পালিয়ে যায়।

এদিকে নির্মম হত্যাকান্ডে জড়িত কথিত হবু স্বামী আবদুল্লাহ আল আওয়াদের শাস্তি দাবি এবং ঘটনাটি পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানান নিহতের চাচা।

খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কবিরের নির্দেশে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের সুরহতাল প্রতিবেদন তৈরিকারী অফিসার এসআই গোলাম মহি উদ্দিন বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভবনা। প্রাথমিক ভাবে ভিকটিমের পরিবার হত্যাকান্ড বলে দাবি করে আসছে। ময়না তদন্ত হাতে আসলে ঘটনার রহস্য জানা যাবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।