স্টাফ রিপোর্টারঃ
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ইদ্রাকপুর এলাকায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা হয়েছে।মামলার বিষয়টি শুক্রবার প্রেসক্লাবে এসে জানিয়েছে নিহত গৃহবধুর মা সরপুনা বেগম।স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে স্বামী আজিজ(৩০),ও মামুন(৫০)পলাতক রয়েছে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইদ্রাকপুর এলাকা থেকে গৃহবধূ মিতু আক্তারের লাশ উদ্ধার করে স্বজনরা।পরে শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অপরাধে মামলা দায়ের করেছেন নিহত মিতু আক্তারের মা সরপুনা বেগম।এজাহারে মামলার বাদী নিহতের মা সরপুনা বেগম অভিযোগ করে বলেন,নিহত মিতু আক্তার হত্যা করে স্বামী আজিজ ও ভাসুর মামুন রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখছে।আমি তাদের ফাঁসি চাই।এজাহার সূত্রে জানা যায়,৭-৮ মাস আগে ইদ্রাকপুর এলাকার মৃত আ:সোবহান মাহমুদ এর ছেলে আব্দুল আজিজ(৩০)এর সাথে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের কংসপুরা এলাকার মিতু আক্তার(২২)এর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ তাকে দেড় লাখ টাকাও দেয়া হয়। এরপরও সে বিভিন্ন সময় টাকা চাইতো।এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।তাকে মারধরও করতো।সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে যৌতুকের টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে ঝগড়া হলে আজিজ তাকে গালিগালাজ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।পরে আজিজের প্ররোচনায় অভিমান করে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে গৃহবধূ মিতু।আজিজের ফুফাতো বোন ঝুনু আক্তার ফোন দিয়ে মিতুর পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানালে তার মা আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ময়নাতদন্ত শেষে গৃহবধূ মিতুর লাশ বুঝিয়ে দেয়া হলে রাত ১০টা’র দিকে মোল্লাকান্দির কংসপুরা কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।অভিযুক্ত আজিজ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুন্সীগঞ্জ সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো:ফরিদুজ্জামান জানান,আজিজ ও মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।মামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে।আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।