স্টাফ রিপোর্টার:

১১ ডিসেম্বর ২০২২ রবিবার একটি আলোচনায় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও প্রবাসীদের অবৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণ সম্পর্কে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে সে বিষয়ে বাংলাদেশের সরকার ও প্রশাসনকে দায়ি করেন

বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ সৌদি আরব শাখার সহ-গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আহমেদ জহিরুল ইসলাম যিদ্ধু। 

তিনি বলেন “প্রবাসীদের অবৈধ পথে অর্থ পাঠাতে বিরোধী দল নই, বরং সরকারই দায়ি!

দেশ থেকে মানুষ বিদেশ যায় দেশের মানুষগুলোকে ভালো ও আনন্দে রাখার জন্য। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও প্রবাসীদের ভূমিকা কম নয়।

প্রবাসীরা দিন রাত নিজ দেশ ও পরিবারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, তবে সরকার এর বিনিময়ে কি দিয়েছে? তারা প্রবাসীদের দিয়েছে কেবল অবহেলা। পথে পথে আজ প্রবাসীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে! সে সাথেও অনেকের দিতে হচ্ছে তাদের জীবন।  একজন প্রবাসী দীর্ঘ সময় বিদেশে শ্রম করে সামান্য অর্থ সঞ্চয় করে একটা বাড়ি অথবা জমি ক্রয় করেন যাতে দেশে ফেরার পর অন্তত একটা জীবনযাপনের ব্যবস্থা থাকে।

তবে সেখানেও সরকার দলীয় স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যান, প্রশাসন ও অন্যান্য কর্মকর্তারা জমিজামা দখল করে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করে। উক্ত চাঁদা না প্রদান করা হলে তারা সে প্রবাসীকে তার পরিবারসহ বিভিন্ন প্রকার হয়রানি,গুম,হত্যা ইত্যাদি করে থাকে।

তাছাড়াও অনেক জায়গায় তো প্রবাসী পরিবারের মহিলা সদস্যদের ধর্ষণ ও সেক্সচুয়াল টর্চার করে, ফাঁসিতে ঝুলিয়ে,গুলি করে অথবা কুপিয়ে হত্যা করা হয় ।এভাবে ক্রমাগত হয়রানি, হত্যাকান্ড, মা-বোনদের ধর্ষণ না রুখলে কোনো প্রবাসী তার এক পয়সাও দেশের অর্থনীতিতে প্রদান করবে না।

বরং ধীরে ধীরে দেশের অর্থনৈতিক ঝুঁকি ক্রমাগত আরো বাড়বে এবং সেই সাথে সরকার ভয়ানক পরিস্থিরও সম্মুখীন হবে! তাই প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন বাস্তবায়ন করতে হবে।

উক্ত আলোচনায় আহমেদ যিদ্ধু প্রবাসীদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সরকারি খরচে প্রবাসীদের লাশ দেশে আনা এবং ২৪ ঘন্টা ফ্রি প্রবাসী হেল্পলাইন সার্ভিস ব্রাঞ্চ তৈরি বাস্তবায়ন করা দাবী জানিয়েছেন ।