নিউজ ডেস্ক:
এক দশক ধরে নীতিবিহীন অর্থনীতিতে চলছে দেশ। মানুষের অন্যতম আস্থার জায়গা ব্যাংকব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে অর্থনীতিতে সংকট চলছে, তা যুদ্ধ বা করোনার কারণে নয়, লুটপাটের কারণে। আর সংকট মোকাবিলায় পুরো খাতেই একধরনের নেতৃত্বশূন্যতা বিরাজ করছে।
অন্যদিকে অবৈধভাবে টাকা আয়, ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করা, ঋণ অবলোপন এবং বিদেশে টাকা পাচার করার একটি চক্র গড়ে উঠেছে। এই চক্রে আমলা, রাজনীতিবিদ এবং দুষ্কৃতকারী একশ্রেণির ব্যবসায়ী জড়িত।
শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংলাপের বিষয় ছিল ‘সংকটে অর্থনীতি, কর্মপরিকল্পনা কী হতে পারে’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এবং বিশেষ অতিথি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার এমপি।
সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর, বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, ফরেন চেম্বার অব কমার্স অব বাংলাদেশের সভাপতি নাসের এজাজ বিজয়, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ এবং বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজ রূপালী হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বক্তাদের কেউ কেউ বলেন, ব্যাংক লুটের অশোভন উদাহরণগুলোর কারণে শোভনীয় (ভালো) ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। তারা নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছেন না।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এক দশক ধরে নীতিবিহীন অর্থনীতিতে চলছে দেশ। এর আগে কিছুটা সমস্যা থাকলেও সেখানে কিছু ভারসাম্য ছিল। মিডিয়া সক্রিয় ছিল, সংসদে অনেক বিষয় আলোচনা হতো। তিনি বলেন, অনেক বিষয় আমরা সংসদে তুলেছি; কিন্তু এরপর এগুলো নিয়ে কোনো কাজ হয়নি। অর্থনীতিতে বর্তমানে যেসব সমস্যা রয়েছে, তার কোনো কিছুর জন্যই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দায়ী নয়। এজন্য দায়ী খেলাপি ঋণ এবং ব্যাংক লুট।
তিনি বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে লুটের কারণে ইংরেজরা এই শব্দ হিন্দি থেকে ইংরেজি ডিকশনারিতে নিয়ে গেছে। তার মতে, আমাদের ব্যাংক থেকে যত টাকা লুট হয়েছে, ইংরেজরা এত বেশি লুট করেনি। শেয়ারবাজারে কয়েকবার ধস হয়েছে, এর একটির বিরুদ্ধেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে প্রচুর পরিমাণ টাকা আয় করলে, স্বাভাবিকভাবেই তার লক্ষ্য থাকবে টাকাটা নিরাপদে বিদেশে পাচার করা। অবৈধভাবে টাকা আয় করা, ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করা, ঋণ অবলোপন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের একটি চক্র গড়ে উঠেছে। এই চক্রের মধ্যে আমলা, রাজনীতিবিদ এবং দুষ্কৃতকারী একশ্রেণির ব্যবসায়ীও আছে। তিনি আরও বলেন, ব্যাংক লুটে অশোভনীয় উদাহরণগুলোর কারণে শোভনীয় ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। তারা নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছেন না। কারণ ব্যবসা বাড়ালে তাদের যে আয় হবে, একটি ব্যাংক লুট করলে এর চেয়ে বেশি অর্থ আসবে। আর অশোভন ব্যবসায়ীরাও ব্যবসা বাড়াচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, চাটার দল ধান-গম লুটপাট করে খাচ্ছে। আর বর্তমানে যে চাটার দল রয়েছে, তারা আস্ত একটা ব্যাংক গিলে খাচ্ছে। এই ব্যবসাতন্ত্র থেকে দেশকে বের করতে হবে। কারণ, এ অবস্থা আর চলতে পারে না। এদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। এ অবস্থার পরিবর্তন করতেই হবে। সংস্কারে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এই সংস্কার প্রধানমন্ত্রী নিজে করলে আমাদের সবার জন্য ভালো। সহজে সমাধান হবে। আর তিনি সংস্কার না করলে একপর্যায়ে সবকিছু ধসে পড়বে (কলাপস করবে)।
শামীম হায়দারের মতে, দেশ অর্থনীতির যুদ্ধের মধ্যে আছে। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে না। একচ্ছত্র নীতিতে চলছেন তিনি। এভাবে চললে আমরা বিপদে পড়ব। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে সমস্যা হলে মওলানা ভাসানী হাসপাতালে চলে যেতেন। বতর্মান অর্থমন্ত্রীও সেটি ফলো করছেন কি না, তা ভেবে দেখা উচিত।
শামীম হায়দার বলেন, আমাদের রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার। এটি অনেক টাকা। এই টাকা থাকার পরও আমরা শঙ্কিত কেন। এর কারণ হলো, এখান থেকে আস্তে আস্তে টাকা কমছে। মানুষের অন্যতম আস্থার জায়গা ব্যাংক। অবশ্যই দেশের ব্যাংকব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও রেমিট্যান্স কমছে। আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য নেতিবাচক হচ্ছে। তিনি বলেন, অনেক মেগা প্রকল্প আমরা করেছি। এখানে বড় আয় আসছে না। কোনো কোনো মেগা প্রকল্প থেকে আয়ই আসছে না। তার মতে, অগ্রাধিকার নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার সবার সঙ্গে আলোচনা করলে এ ধরনের কয়েকটি ভুল সিদ্ধান্ত নিত না। সরকার তা করেনি। একসময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিবও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান হয়ে গিয়েছিলেন। এর সমাধান কী? তিনি বলেন, কীভাবে লুটের টাকা ফেরত আসবে, এর একটি পলিসি করা দরকার। তিনি বলেন, এনজিওগুলোর তহবিল ছাড় করাতে অনেক কষ্ট হয়। অনেক টাকা ফেরত চলে যায়। বিদেশি তহবিল আনার ক্ষেত্রে পলিসি ওপেন করা দরকার।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ব্যাংক খাতে সুশাসনের অভাব রয়েছে, এটা আমরা অস্বীকার করছি না। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কিন্তু বসেই নেই। সবার পরামর্শ নিয়ে আমরা কাজ করছি, সংস্কারও করছি। গত চার মাসে মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমে এসেছে উলেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যতটা আশা করেছিলাম, মূল্যস্ফীতি ততটা না কমলেও এটা এখন নিম্নমুখী। তিনি বলেন, অর্থনীতির আকাশে কেউ কালো মেঘ দেখছেন, আমরা দেখছি সিলভার লাইটিং (রুপালি আলো)। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হয়েছে উলেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ছাত্রজীবনে অনেক দূর হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুলে গিয়েছি। এখন ছেলেমেয়েরা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী গাড়িতে চড়েই স্কুলে যায়। আমাদের ছোটবেলার জীবনযাত্রার মান আর এখনকার জীবনযাত্রার মান এক নয়। এখন সবাই উন্নত জীবনযাপন করছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকাশে অনেকেই কালো মেঘ দেখতে পাচ্ছেন। এ মেঘ ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। আইন ও বিধিবিধান দ্বারাই আমাদের অর্থনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে। আমরা পরামর্শকদের পরামর্শগুলো গ্রহণ করি এবং তা প্রয়োগেরও চেষ্টা করি।’ এমএ মান্নান বলেন, ‘অর্থনীতি অর্থমন্ত্রী চালান না, অর্থনীতি পরিকল্পনামন্ত্রী বা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর চালান না। নিয়ম অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থনীতি চলছে। আর এটাই আইন, কারণ প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধান। তার থেকে এসব আইন মেনে আসে। মন্ত্রী বলেন, আমি হয়তো আজ অসুস্থ বা অন্য কেউ অসুস্থ হলেন, আমি হয়তো অফিসে গেলাম না। তাই বলে কাজ পড়ে থাকবে না। আমি বলতে চাই, আমরা জেনেশুনেই অর্থনীতি চালাচ্ছি।’
ড. রেহমান সোবহান বলেন, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে আমরা তৃর্ণমূল পর্যায়ে মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা তুলে নিয়ে এসেছি। দীর্ঘদিন থেকে এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্য উলেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অর্থনীতিবিদরা অন্ধ, না হয় বোকা। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমরা অন্ধ নই কিংবা বোকাও নই।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আর্থিক খাতের কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। ব্যাংক মানুষের কাছ থেকে স্বল্পমেয়াদি আমানত নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়। তার মতে, অর্থনীতিতে সংকট হঠাৎ করে আসেনি। এটি দীর্ঘদিনের। তিনি বলেন, আমি যখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলাম, তখন বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা ১৮ বিলিয়ন ডলার। ব্যাংকিং খাত পরিচালনায় কঠোর হতে হবে উলেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি (গর্ভনরদের কেউ কেউ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে) হোটেলে বসে ব্যাংকের নীতি নির্ধারণ করছে। এটা কীভাবে সম্ভব, তা বুঝে আসে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের সময়ও রাজনৈতিক চাপ ছিল; কিন্তু নতুন ব্যাংকের অনুমতি দিইনি। আগে এক পরিবার থেকে ব্যাংকের দুই জন পরিচালক হতে পারতেন। বর্তমানে তা চারজন করা হয়েছে। এছাড়াও পরিচালকদের মেয়াদ ছিল সর্বোচ্চ ৬ বছর। এখন তা ৯ বছর করা হয়েছে। ব্যাংকের সিআরআর (নগদ জমার হার), এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমার হার) কমানো হয়েছে, এটি কোথাও শুনিনি। কী অদ্ভুত ব্যাপার ঘটছে ব্যাংকে। তার মতে, এমডিদের এখানে কোনো দায় নেই। কারণ, চেয়ারম্যান ও বোর্ডের লোকজন এ কাজ করছেন। তিনি বলেন, ব্যাংকের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় খুবই জরুরি। প্রথমত, সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি স্বচ্ছতা থাকতে হবে এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ঝড়ের আগে পরিবেশ একটু শান্ত থাকবে। এরপর ঝড় শুরু হয়। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই অর্থনীতি এমন একটি সমস্যায় পড়বে, তা কেউ ভাবেনি। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ভারতের সঙ্গে আমাদের কিছু পার্থক্য রয়েছে। তারা অব্যাহতভাবে মুদ্রার মান এবং ঋণের সুদের হার সমন্বয় করেছে। আমরা তা করতে পারিনি। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে জিডিপির বিপরীতে কর আদায় ৮ শতাংশ। ভারতে তা ২০ শতাংশ; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ৩১ থেকে ৩২ শতাংশ। তার মতে, ভারতে আমাদের চেয়ে মূল্যস্ফীতি কম হয়েছে। তারা বিভিন্ন সমস্যা ভালোভাবে সমাধান করেছে।
ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ভর্তুকির জন্য ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার বাজেট বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর এসেছে, আগামী ৬ মাসে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এটি মোট বাজেটের ১৭ শতাংশ। এটি সম্ভব কি না। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কথা বলা হচ্ছে। আমার ধারণা এই মূল্যস্ফীতি আমদানি করা পণ্যের কারণে নয়। অপরদিকে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, পাশাপাশি জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে। তিনি বলেন, তারল্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ ইতোমধ্যে সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যাংক ঋণ নিয়েছে। এটা নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে। অর্থাৎ টাকা ছাপিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাজারে তারল্য প্রবাহ বেড়েছে। তার মতে, অর্থনীতিতে সংকট হলে মধ্যবিত্তের সঞ্চয় কমে; কিন্তু দরিদ্র্যদের জীবিকার সমস্যা হয়। ফলে দরিদ্রদের কথা বিবেচনা করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে সংকট চলছে। এই সংকট করোনা বা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে নয়। দীর্ঘদিন চলতে থাকা দুর্বল শাসন ও সংস্কারের অভাবে এ সংকট তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন এ খাত দুর্বলতার মুখোমুখি। খেলাপি ঋণ বাড়ছে, বিভিন্ন সূচকে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। দুর্বল সুশাসন ও সংস্কারের অভাবে এই খাত ক্রমান্বয়ে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে। ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ব্যাংকগুলোয় মূলধনের ঘাটতি রয়েই যাবে। এই ঋণ আরও বাড়বে। তার মতে, খেলাপি ঋণের যে পরিমাণ দেখানো হচ্ছে, বাস্তবে তা আরও বেশি। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে সংকট চলছে। কিন্তু এই সংকট মোকাবিলায় কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তা পরিষ্কার নয়। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এ খাতে নেতৃত্বশূন্যতা অনুভব হচ্ছে।