স্টাফ রিপোর্টার:

নগরীতে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে দেহ ব্যবসা। সেই সাথে সারা দেশে ইয়াবার ভয়াবহ বিস্তারে নারীর ব্যবহার আশংকাজনক হারে বাড়ছে।

বর্তমানে দেহ ব্যবসা ও ইয়াবার ব্যবসার পরিমান কয়েক গুন বেড়েছে। ঠিক তেমনি চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন তুলাতলীতে মনি আক্তার সুমি নামের এক নারী দেদারসে চালাচ্ছে দেহ ব্যবসা ও ইয়াবা ব্যবসা। পুলিশের চোখে ফাকি দিয়ে মনি আক্তার বিভিন্ন জায়গায় এক একটি নাম ব্যবহার করে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নিরীহ মানুষকে সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।বিভিন্ন জায়াগায় বাসা ভাড়া নিয়ে দালালদের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছে দেহ ব্যবসা। সীতাকুণ্ড থানায় ২০২০ সালে মনি আক্তার সুমির বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচারের মামলা ও রয়েছে। সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবার আমদানি,সরবরাহ ও বেচাকেনার জন্য নিরাপদ হিসেবে নারীদের বেছে নিচ্ছে।ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি নারীরা দেহ ব্যবসার সাথে ও জড়িত হচ্ছে। আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে বাসা বাড়িতে ও দেদারসে চলছে এ ব্যবসা। ১৫ বছর থেকে বিভিন্ন বয়সী নারীরা ইয়াবা ও দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত। এমনকি ইয়াবার মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে ফাসিয়ে উপরি আয়ের ধান্দা করেন নারীরা।সেই সাথে নারীর শারিরীক গঠনের সুযোগ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা নারীদের বেশি ব্যবহার করছে।আবার বেশিরভাগ নারী মাদক ব্যবসায়ীরা একই পরিবারের পুরুষ সদস্যদের হাত ধরে এ ব্যবসায়ে জড়াচ্ছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযানে গিয়ে এইসব নারীকে নিয়ে বিপাকে পরতে হয়। সব অভিযানে ও টহলে সব সময় নারী পুলিশ থাকে না। তাই নারীদের দেহ তল্লাসি করা যায় না। এই সুযোগ নিচ্ছে নারী মাদক ব্যবসায়ীরা।