সম্পাদক

আবদুর রহমান

নিউজ ডেস্ক :

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেটিই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‌দেশের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। ভবিষ্যতে আর তাদের কষ্ট করতে হবে না। সবাই যেন সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ একটা জীবন পায়, সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

দলকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এই সংগঠনটাই আমাদের বড় শক্তি, এটা মাথায় রাখতে হবে। সংগঠন যদি শক্তিশালী থাকে আর মানুষের আস্থা-বিশ্বাস যদি অর্জন করতে পারে- তাহলে সরকার চালানো এবং দেশের উন্নয়ন করা কঠিন কাজ না। সে বাস্তবতা নিয়েই আমরা কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ্। আমাদের যে লক্ষ্য ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ, সেটা কীভাবে করব, কী কী ক্ষেত্রে করব তা আমি আগেও বলেছি। আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী স্মার্ট হবে, সেটাই আমরা করতে চাই।

করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের প্রভাব তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, এসব ধাক্কা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে না এলে আজকের বাংলাদেশকে আমরা আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারতাম।

সভায় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা দলের কার্যনির্বাহী সদস্যদের মনোনয়ন দেওয়ার কথা রয়েছে।

দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও নতুন কমিটির ১৫ জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্ল্যাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিমিন হোসেন রিমি।