সম্পাদক

আবদুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার:

কিশোরগঞ্জের হাওরে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি শেষ করে বোরো চারা হাওর উপজেলা গুলোতে ইতিমধ্যে পুরোদমে শুরু হবে বোরো মৌসুমের কাজ। তবে প্রতিবছরের মতো এবারও যথাসময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাওর রক্ষা কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ডুবন্ত বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ায় চিন্তিত হাওর পাড়ের কৃষকরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কিশোরগঞ্জের উপ-বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ২২-২৩ অর্থ বছরে কিশোরগঞ্জের হাওর বেষ্টিত অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন ৩ উপজেলা প্রায় ৮৫টি প্রকল্পে মাধ্যমে কাজ হবে তবে আরো প্রকল্প বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে অষ্টগ্রাম উপজেলা ২৩টি প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা, ইটনা উপজেলায় ৪০ টি প্রকল্পে ২কোটি ২৪ লাখ ৭ হাজার টাকা এবং মিঠামইন উপজেলায় ২০টি প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৫৩ লাখ ২১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যা গত ২১-২২ অর্থ বছরের চেয়ে অনেক বেশি। চলতি মৌসুমে এই হাওর ৩ উপজেলায় হাওরের বোরো ফসল রক্ষার জন্য ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ পেয়েছে পাউবো। গত অক্টোবর থেকে তাদের (সার্ভেয়ার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী) হাওরে গিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে বলে জানা গেছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রি-ওয়ার্ক (সম্ভাব্যতা যাচাই) শেষ করে প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদন, ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রয়ারি কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু জেলার হাওর ৩ উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলা ৪৫ টি প্রকল্প চূড়ান্ত করা করতে পারলেও অন্যদিকে ইটনা উপজেলার চুড়ান্ত করতে না পাওয়ার কারনে হাওরে ডুবন্ত বাঁধ নিমাণ কাজ শেষ করা নিয়ে হাওর পাড়ের কৃষকদের মাঝে শঙ্কা কাজ করছে বেশ কয়েক জন কৃষক জানান। নির্ধারিত সময়ে যদি বাঁধের কাজ শুরু না হয় তাহলে বোরো ধান হুমকির মুখে পড়বে বলেও একাধিক কৃষকেরা জানান। ইটনা মৃগা ইউনিয়নের কৃষক তাউজুল মিয়া বলেন, প্রায় প্রতিবছর বছরই অকাল বন্যায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বোরো ধান রোপণ করবো কিন্তু এখন পর্যন্ত হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ পুরোদমে শুরু হয়নি। এদিকে কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৬৭ হাজার হেক্টর বোরো ধান। এখন পর্যন্ত জেলার হাওর বেষ্টিত ৩টি উপজেলা বোরোর চারা রোপনের কাজ চলছে। আগামী কয়েকদিনে মধ্যে সারা জেলায় পুরোদমে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু করবেন। এই বিষয়ে ইটনা উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ইটনা উপজেলা ৪০টি প্রকল্প তবে আরো প্রকল্প বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি। কিশোরগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান এর মুঠোফোনে একাধিক কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় খুদে বার্তা পাঠিয়ে সাড়া পাওয়া না যাওয়ার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।