ক্রাইম রিপোর্টার
যশোরের অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বিরুদ্ধে সরকারী নতুন বই বিতরণে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৫৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বই বিতরণে খরচ বাবদ এ টাকা নেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী আয়ুব হোসেন এ টাকা আদায় করছেন। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে উপজেলায় বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জানা গেছে,অভয়নগর উপজেলার ৩১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,২০ টি মাদ্রাসা, ৪টি নিম্ন মাধ্যমিক, ২টি কলিজিয়েট স্কুল ও ২ টি এবতেদায়ী মাদ্রাসায় ২০২৩ সালের বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলা গুদাম থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম বই বিতরণ করছেন। বই বিতরণের সময় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন খরচের কথা বলে ২ শত টাকা থেকে অনধিক টাকা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন এ টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার সুন্দলী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম ধর বলেন “ আমার স্কুল থেকে অফিস সহকারী আনন্দ কুমারকে পাঠিয়েছিলাম। সে এসে বললো খরচ বাবদ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী আয়ুব আলীকে ২ শত টাকা দেয়া হয়েছে।
নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোজাম্মেল হক বলেন “ অফিসে চা নাস্তার খরচের জন্য ২ শত টাকা চেয়েছিলো তা আয়ুবের নিকট দিয়েছিলাম।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়ুব আলী বলেন “বই বিতরণে দুইজন লেবার রাখা হয়েছে। তাদের জন্য স্যারের কথা মত কেউ ৫০ আবার ১০০ এবং দুই শত টাকা করে দিয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম বলেন “বইতো গুদাম থেকে প্রতি বিদ্যালয়ের কর্মচারী দিয়ে ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার কথা। এসময় আমার ষ্টাফ থাকবে। টাকা নেয়ার বিধান নেই কেউ নিয়ে থাকলে আমার জানা নেই।”
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম আযম বলেন“ বই বিতরণে টাকা নিছে কিনা আমি জেনে আপনাকে জানাবো। টাকা নেয়ার বিধান আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।”