ওমর ফারুক

মোঃ তারেক মিয়া, শাল্লা(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

শাল্লায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের ডাকে মানববন্ধনে আসেননি কেউ। ফলে অনুষ্ঠিত হয়নি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হেয় প্রতিপন্ন করার মানববন্ধনটি। তার নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করে আসছিলেন সাংবাদিকরা।

এতে নিজের দুর্নীতি আড়াল করতে মরিয়া হয়ে উঠে আব্দুস সালাম। সাংবাদিকদের কোনমতেই নিজের কব্জায় আনতে না পেরে প্রথমে প্রাণনাশের হুমকি দেন। তাতেও সাংবাদিকরা ভয় না পাওয়ায় গত ২৩ অক্টোবর (বুধবার) রাত আনুমানিক ৯টায় (upzila education officers group) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আব্দুস সালাম লিখেন প্রিয় শাল্লাবাসি, আমার সালাম ও শুবেচ্ছা নিবেন।

আগামীকাল রোজ বৃহস্পতিবার সময় ১১ ঘটিকায় (২৪ অক্টোবর) হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এবং তাদের কর্তৃক হয়রানি ও মানহানিকর আচরণের প্রেক্ষিতে সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষক সমাজ, সাংবাদিক এবং সাধারণ মানুষসহ সবাইকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হল।’ অনুরোধক্রমে প্রধান সমন্বয়ক উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাল্লা, সুনামগঞ্জ।

তার এই গ্রুপ ম্যাসেজ পেয়েও কোন শিক্ষক সাড়া দেননি। সাড়া দেয়নি উপজেলার সাধারণ মানুষসহ সাংবাদিকরাও। তবে এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উটে।

কেউ আসেননি মানববন্ধন কর্মসূচিতেও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক বলেন চোরের ডাকে ক্লাস ফেলে মানববন্ধনে কেন আসব? আরেকজন শিক্ষক বলেন শুনেছি মাথাপিছু ১হাজার দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভাড়া কইরা আনতাছে। উপজেলার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তার এই বেআইনি সমাবেশে যাব কেন?

উপজেলা উদীচীর শিল্পী গোষ্ঠীর উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আজমান গণী তালুকদার বলেন নিজের অপকর্ম লুকিয়ে রাখতেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে এই কৌশল অবলম্বন করেছে ওই কর্মকর্তা। তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো যাতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন তিনি। প্রকাশ্যে নিলাম ছাড়াই নিজের পছন্দের লোকদের বেশকটি ভবন দিয়ে দেন তিনি। তথ্য অধিকার আইনে এসবের তথ্য চাওয়ায় ভাড়াটিয়া কিছু লোক দিয়ে দু’জন সাংবাদিককে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। এরপরই স্থানীয় সাংবাদিক ও ছাত্র-জনতা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এবং এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।