বিজয় কর রতন

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইন ইটনা অষ্টগ্রামে ইতিমধ্যে প্রায় ৬৫% পাঁকা আধা পাঁকা ধান কাটা হয়ে গেছে। শ্রমিক সংকট ও হারবেষ্টার সংকটের কারণ,অণ্যদিকে আগাম বন্যা ও অতি বৃষ্টি আশংকায় কৃষকের ঘুম নেই।আরও ৩৫ % জমি কাঁচা রয়ে গেছে।
বিভিন্ন জায়গায় গ্রাম্য দলাদলির কারণে সময় মত সেচের পানি জমিতে দিতে না পারায় জমির চারা রোপন প্রায় ১ মাস পিছিয়েছে। ঐ সকল কারণে বাকি ৩০ % জমি এখনও পাঁকেনি ৫% জমি আধা পাঁকা অবস্থায় রয়েছে। ঐসকল জমির মালিক কৃষকরা আগাম বন্যা ও অতিবৃষ্টির আশংকায় দিন কাটাচ্ছে। বড় হাওরের কৃষক মক্কুল জিরাতি জানান,ঘাগড়া সেচ স্কিমে আমার জমি স্হানীয় দলাদলির কারণে সেচ স্কিম নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১ মাস পরে চালু হয়েছে।

আমি ১ ছটাক ধানও গোলায় তুলতে পারিনি।এই হাওরে অন্য কৃষকের প্রায় ১০০ একর জমি রয়েছে ধানও পাঁকে নি। আরও কমপক্ষে ১০/১৫ সময় লাগবে এসকল কৃষক রা খুব দুচিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। বন্যাও অতি বৃষ্টি পেয়ে যায়।তবে আমাদের বাতানের ২০ জন কৃষক একেবারে নিশ্ব হয়ে যাবে।একই হাওরের অন্য কৃষক সিরাজ মিয়া বলেন,খাজাগেোরিয়া হাওরে তার ১০ একর জমি রয়েছে কৃষক অফিস থেকে আগাম বন্যা সর্তক বাণী পেয়ে আধা পাঁকা ধান কেটে ফেলেছি।ফলন ভালো হয়েছে।
তবে এসকল ধান ৮৫০ মণ বিক্রি করতে হচ্ছে। এবার ধানের লোকসান গুনতে হবে। যদি খের বিক্রি করতে পারি তবে সমনে সমানে থাকবো।এই হাওরে এমন অনেক জমি রয়েছে এখনও পাঁকেনি।ধানের ব্যাপারীরা হাওর থেকে বস্তা পুড়ে ধান ক্রয় করে মোকামে নিয়ে আসছে।
এবছর বাড়ির আঙ্গিনায় ধান খুব কম আসছে। ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকায় নিজের খোঁড়াকির ধান রেখে সব বিক্রি করে দিচ্ছে।মিঠামইন, ইটনা, অষ্টগ্রামে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও কৃষকরা ধান গোদাম পর্যন্ত আনতে পারছে না।হাওরেই বিক্রি করে দিচ্ছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর সূএে জানা যায়, এবছর মিঠামইনে ১২৭২মে:টন ধান ক্রয় করা হবে। ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩৬ টাকা কেজি আর সিদ্ধ চাল ৪৯ টাকা কেজি।
কৃষকরা ধান খাদ্য গোদামে না এনে হাওরে ফুড়িয়াদের নিকট ভিজা ধান কম মূল্যে বিক্রি করছে। সেচ স্কিম চার্জ, মাহজনের সুধের টাকা মেটানোর জন্যই তারা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ঐ সকল ফুড়িয়ারা করিমগঞ্জের চামড়া বন্দরও ভৈরব ও আশুগঞ্জে হাজার হাজার মণ ধান প্রতি দিন বিক্রি হচ্ছে। ধান নিয়ে কৃষকরা নেতিবাচক শংকা প্রকাশ করছেন।
অষ্টগ্রামের কৃষক জমসেদ আলী বলেন হাওরের অধিকাংশ কৃষক জমি প্রত্তন নিয়ে মাহজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে জমি চাষ করেন ফসল উঠার পরেই জমিতেই কম মূল্যে ধান বিক্রি করে মহাজনের টাকা পরিশোধ করতে হয়।মিঠামইন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওবায়দুল ইসলাম অপু বলেন,৭০% ধান কাটা হয়ে গেছে ফলন ভালো হয়েছে।
কিন্তু বৈশাখেই সুধের চাপ থাকায় কৃষকদের জমিতেই ধান বিক্রি করতে হয়।কৃষকরা কয়দিন পর এসকল ধান বিক্রি করলে দাম পেতেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জের উপপরিচালক ড:সাদিকুর রহমান জানান,এবার বাম্পার ফলন হয়েছে, জেলায় ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ১১৫ হে: বোরো আবাধ হয়েছে। এর মধ্যে হাওরে ১ লক্ষ হেক্টর।উৎপাদন লক্ষ্য মাএা ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ১২ মে:টন চাউল।যার বাজার মূল্য ৪ হাজার কোটি টাকা।তিনি বলেন সরকারি প্রক্রিয়ায় ধান দিলে কৃষকরা লাভবান হবেন।

