বিজয় কর রতন

হাওরে বোরো ধান কাটা এখনো শেষ হয়নি।হাওরে ৭% ধান কাটার অপেক্ষায় রয়েছে।এদিকে হাওরের আকাশে কাল বৈশাখী মেঘের ☁ আনা গুণা। রয়েছে ব্রজপাতের ভয়।যে কোনো সময় ভারি বৃষ্টিপাত আর বন্যায় তলিয়ে যেতে পারে বাকি কষ্টের সোনালী ফসল।
হাওরের ফসল রক্ষায় প্রতি বছর সরকারি ভাবে বাঁধ সংস্কার করা হয়। কাজটি করে থাকে পানি উন্নয়ন বোর্ড।সেই ফসল রক্ষা বাঁধ গুলি ঝুঁকি মধ্যে রয়েছে। হাওর এলাকার প্রায় ৬৭% লোক সরাসরি কৃষি নির্ভর।কিন্তু প্রতি বছর অকাল বন্যায় আর পাহাড়ি ঢলে ব্যাপক ক্ষতি হয় বোরো ফসলের।
প্রথমত পানি আটকানোর জন্য স্থানীয় জনগণ সেচ্ছা শ্রমে বাঁধ নির্মাণ করে থাকে। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড নামে সরকারি সংস্থা এসকল বাঁধ নির্মাণে দায়িত্ব নেন।প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে দায় সারা ভাবে বাঁধ নির্মাণ করে। এর ধারা বাহিকতায় পুরানো বাঁধের উপর মাটি ফেলে সংস্কারের নামে টাকা খরচ করে। কিন্তু কোনো কাজে আসে না।সরকারি ব্যাবস্হাপনায় (সাবমার্সেবল আ্যামব্যান্কমেন্ট) নির্মাণ করা হয়।বাঁধের উদ্দেশ্য হলো ফসল রক্ষা সহ জীব পরিবেশ রক্ষা করা। কিন্তু হাওরে ঘটনা ঘটছে উল্টো। বর্তমানে এসকল বাঁধ নিজেই ঝুঁকিতে দায়সারা কাজের জন্য। সরজমিনে বুধবার ইটনা,মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলী উপজেলার মেরামতকৃত বাঁধ গুলো ঘুরে দেখা গেছে খুবই দূর্বল ও দায়সারা কাজ হচ্ছে।
এদের মধ্যে ইটনার পুনিয়ার হাওর, জিউলের হাওর, তেরালিয়ার হাওর, বাঁধলার হাওর,মিঠামইনের খাদির কলার হাওর, বড় হাওর,নৌগার হাওর, অষ্টগ্রামের দেওঘর হাওর সহ বিভিন্ন বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। এবং কোনো কোনো অভিযোগের সত্যতা ও মিলেছে। দেখা গেছে বাঁধ নির্মাণে নিয়মনীতি তওয়াক্কা না করে বাঁধের পাশে গর্ত করে মাটি কাটা হচ্ছে। ফলে বাঁধ নির্মাণ শেষ হওয়ার পূর্বেই বাঁধে র গোড়া থেকে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।
এতে করে শংকা কাটছে না কৃষকের।স্হানীয় কৃষকরা ও গন্যমান্য ব্যাক্তিরা বলছেন, টেকসই বাঁধ না হলে ঝুঁকিতে পড়তে পারে অবশিষ্ট ধান।স্হানীয়দের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাট কর্মীদের নজর দারি অভাবে ও পি আইসি কমিটির অনিয়মের কারণে এবছর হাওরের বাঁধ গুলি ঝুঁকিতে রয়েছে। বাধগুলি ড্রেসিং করার কথা থাকলে ও অধিকাংশ বাঁধে ড্রেসিং হয়নি।মিঠামইন উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস,ও জুবায়ের আলম জানান,এ উপজেলায় ২৫ টি পি আই সি কাজ করছে। যদি প্রকল্প গুলির সম্পন্ন না হয় নির্ধারণ সময়ের আগে তবে তারা সমস্ত প্রকল্পের বিল পাবে না।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূএে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ৯ টি উপজেলায় ২৩ কোটি টাকা ব্যায়ের ১৫০ কিলোমিটার দৈঘ্য ১২৯ টি ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত প্রকল্প গত ২৮ ই ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাঁধ মেরামতের কাজ সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়েছে।
যে সকল উপজেলায় কাজের অভিযোগ পেয়েছে সে গুলো ঠিক করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আর আপনারা যে গুলোতে অনিয়ম পাবেন আমাদেরকে জানাবেন।আমরা সেগুলো টিক করার ব্যবস্হা করব।জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন,প্রতি বছর এই আমরা বাঁধ নিয়ে এমন অভিযোগ পায়।এবার কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।অনিয়ম হলে দায়দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।

