
শাকিব হাসান

অনুপ্রেরণা বলতে আমরা বুঝি কোনো কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক শক্তি বা উদ্দীপনা, অনুপ্রেরণা মানুষকে তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে উৎসাহ ও আগ্রহ সৃষ্টি করে।
অনুপ্রেরণা মানুষের মধ্যে আশা ও ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করে, যা সকল জটিল পরিস্থিতির মধ্যেও এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। অনুপ্রেরণা সাধারণত দুটি রুপে প্রকাশিত হয় অভ্যন্তরীণ অনুপ্রেরণা ও বাহ্যিক অনুপ্রেরণা। অভ্যন্তরীণ অনুপ্রেরণা নিজের ভেতর থেকে আসে, বাহ্যিক অনুপ্রেরণা বাইরের পরিবেশ বা ব্যক্তির কাছ থেকে থেকে আসে। অনুপ্রেরণা কখন প্রবঞ্চনা হয়?
মূলত অনুপ্রেরণার নামে প্রতারণাকেই প্রবঞ্চনা বলা যায়। সামাজে অনেক মানুষ আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় যেগুলো বাস্তব জীবনে ফলপ্রসূ নয়। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে অনেক সস্তা অনুপ্রেরণা আমাদের হাঁতের মুঠোয় – যেগুলোতে অতিরঞ্জিত কল্পকাহিনীও রয়েছে, এ বিষয় গুলোতে আমাদের বুঝেশুনে অনুপ্রাণিত হতে হবে। কেউকেউ অনুপ্রেরণার নামে অবাস্তব ও ক্ষতিকর প্রত্যাশা তৈরি করে দেয়। “অমুক এটা পেরেছে, তুমি কেনো পারবে না?” এই ধরনের তুলনা মানুষের মধ্যে হীনমন্যতা ও অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।
প্রত্যেকের আলাদা আলাদা কর্মদক্ষতা রয়েছে, অন্যের সাথে হুবহু তুলনা নিজের আত্মবিশ্বাস নষ্টকরে দিতে পারে। নিজের সক্ষমতা বিবেচনায় যে সকল কাজে অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত নয় সেগুলো নিজেকেই খুজে বের করে পরিহার করতে হবে। ভালো অনুপ্রেরণা মানুষকে ইতিবাচক পথে পরিচালিত করে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং বাস্তব সম্মত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। অন্যদিকে ভুল অনুপ্রেরণা মানুষকে বিভ্রান্ত করে, ক্ষতিসাধন করে এবং তাদের মানসিক শান্তি থেকে বঞ্চিত করে। তাই যেকোনো অনুপ্রেরণা গ্রহণ করার আগে তার বাস্তবতা, উদ্দেশ্য এবং সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।
 

