ষ্টাফ রিপোর্টার :
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বহুল কাঙ্খিত গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব এবং পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের আজ ত্রি বার্ষিক সন্মেলন । দুপুর ২ টায় টঙ্গী সরকারি কলেজ এবং সফিউদ্দিন একাডেমি মাঠে প্রাঙ্গণে অনুষ্টিত হতে যাচেছ এ সম্মেলন। সম্মেলনের আহ্বান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি। এ নিয়ে টঙ্গীর দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরনের উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। শেষ মুহুত্বে চলছে নানা সমীকরণ। সর্বমহলে বইছে জল্পনা কল্পনা। এ সম্মেলনের মাধ্যমে গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব এবং পশ্চিম থানার নতুন কমিটি গঠন করা হবে। দীর্ঘদিন পর এবারই টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগে ভিন্ন একটি পরিবেশ বিরাজ করছে। নেতাদের মধ্যে এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। সম্মেলনকে সামনে রেখে পদপ্রত্যাশী নেতাদের শেষ মুহুত্বে বেশ জোরেশোরে চলছে প্রচার প্রচারনা। পদ পাওয়ার আশায় অনেকেই কোমরে গামছা বেধেঁ ব্যানার পোস্টার সজ্জিত করে পুরো মাঠ ঘুরে বেড়াচেছন। থানা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে কারা আসছেন, তা নিয়ে শেষ মুহুত্বে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। গাজীপুর মহানগর সম্মেলন,কাশেমপুর কোনাবাড়ি থানা,গাছা থানা,বাসন,পুবাইল,কাউলতিয়া ও সদর থানা সম্মেলন শেষে সর্বশেষে টঙ্গী পূর্ব এবং পশ্চিম থানা সম্মেলন হতে যাচ্ছে । এক সাথে টঙ্গী পূর্ব এবং পশ্চিম থানা এবারের কমিটি নিয়ে রয়েছে জটিল এক সমীকরণ। বিশেষ করে দলের হাইকমান্ড ও শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা বলছে, দলের তৃণমূল পর্যায়ের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও প্রকৃত নেতাদেরকে এবার দল মূল্যায়ন করবে এমনটি শোনা যাচেছ।
একটি নির্ভরযোগ্য দলীয় সূত্র বলছে, এবারের সম্মেলনে যারা প্রার্থী হয়েছে তাদের বিগত দিনের দলীয় পারফরমেন্স, বিগত বিএনপি- জামাত জোট সরকারের আমলে হামলা মামলা, জেল, জুলুম, দলীয় কর্মকাণ্ড, সামাজিক কর্মকাণ্ড, যারা রাজ পথে মিটিং মিছিলে ছিলেন সেই সব ত্যাগী, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদেরকে দল মূল্যায়ন করবে।
সূত্র আরও জানা গেছে, কোন হাইব্রিট, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও সুবিধাবাদীরা এবার পদপদবি থেকে বাদ পড়বেন। এমনটি মনে করছেন দলের হাইকমান্ড এবং শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান বলেন দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এই প্রতিবেদককে বলেন, টাকা দিয়ে দলের পদ পদবি কেনার কোন সুযোগ নেই। যারা টাকার বিনিময়ে পদ বেঁচাকেনা করে তারা প্রকৃত পক্ষে আওয়ামীগের নেতা নয়। তারা হল সুবিধাবাদি নেতা। তাদের জায়গা দলে হবে না। কারোর পছন্দ ও অপছন্দের বিষয় নেই। এছাড়া পকেট কমিটিরও কোন সুযোগ নেই। শুধু বিএনপি- জামাত জোট সরকারের আমলে রাজপথে আন্দোলন লড়াই-সংগ্রামের মাঠে ছিল, হামলা হামলা, জেল জুলুম, হুলিয়া, ত্যাগী, তৃনমূল পর্যায়ের পরীক্ষিত কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে।