স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কুলিক নদীর তীরে ২ ডিসেম্বর ২০২২ পাথর কালী পুজা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কালীপুজার আয়োজনে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ দুই বাংলার মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এ মহামিলন মেলা ১দিনের জন্য জেলার হরিপুর উপজেলার চাপাসার তাজিগাঁও সীমান্তের নীভৃত গ্রামে টেংরিয়া গোবিন্দপুর কুলিক নদীর পারে পাথর কালি মেলায় বসেছিল এ মেলায় এসে বাংলাদেশ ও ভারতের আত্মীয় স্বজন,বন্ধু বান্ধব একান্ত অন্তরঙ্গ প্রিয়জনের সাথে সাক্ষাৎ করেন তারকটার এপার ওপার দাঁড়িয়ে।কথা বলা মত বিনিময় শেষে কান্না বিজরিত কন্ঠে চোখের জল ফেলে ফিরে আসেন আবারও নিজের গন্তব্য স্থান গৃহে।

বংলাদেশের একমাত্র শ্রেষ্ঠ মিলন মেলায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত লাখ লাখ নারী-পুরুষ আবালবৃদ্ধ বলিতা ভারতে বসবাসরত তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ ও মনের ভাব আদান-প্রদানের জন্য সকাল থেকে ভীড় করতে থাকে এই ভারতের তারকাটার পাশে দাঁড়িয়ে।

উল্লেখ পাওয়া যায় বিভিন্ন তথ্য সূত্রে ৪শত বছর পূর্বে ও বৃটিশ আমল হতেই এই পাথর কালী পুজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হতো।তাই আজকের এই দিনে ও ‘‘পাথরকালির মেলার’’ নামে প্রতি বছর এখানে এক দিনের জন্য মেলা বসে চলছে।

জানা যায়,দেশ স্বাধীনের পর মেলাটি বাংলাদেশের অংশে পড়লেও মেলায় ভারতীয় সীমান্তে উন্মমুক্ত করে দেয়া হতো কোন প্রকার বাধা ছাড়াই ভারতীয়রা ঐ মেলায় আসতে পারত।হাজার হাজার ভারতীয় প্রতিবছরই মেলায় এসে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে যেতো।

দুই বাংলার মহামিলন মেলার বিষয়টি বিভিন্ন ভাবে প্রচারিত হলে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পরে।এ খবর পেয়ে এতে বাংলাদেশের বসবাসরত হাজার হাজার মানুষ ভারতে বসবাসকারী তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সহজে দেখা করার জন্য এই দিনটি অপেক্ষা করতে থাকেন বলে জানা যায়।

প্রতিবছর এই মেলা বসানো হলে এই দিনে শত ব্যাস্ততার ভীড়ে আত্মীয়-স্বজনদের দেখা সাক্ষাৎ ও মনেরভাব আদা-প্রদানের জন্য ছুটে আসেন মিলন মেলায়।বাংলাদেশের দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখলাখ মানুষ এই মেলায় আসেন।আজকেও স্বজনদের সাথে দেখা করতে আসেন দেশের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন জেলার।

বিভিন্ন সূত্রেজানা গেছে গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার লোক স্থানীয় আত্মীয়-স্বজদের বাড়িতে এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন ভারতীয় স্বজনদের সাক্ষাতের জন্য।

২ ডিসেম্বর ২০২২ শুক্রবার ভোর থেকে রিক্সা, ভ্যান,মটরসাইকেল,টেম্পু,মাইক্রোবাস, নছিমন-করিমন,বাইসাইকেল,অটোগাড়ি যোগেও লাখো মানুষের সমাগম হয় এই মেলায়।

শুক্রবার ১০টায় ভারতের মাকড়হাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তের ৩৪৬ ও ৬৮ নং পিলারের প্রধান দরজা না খুললেও তার কাটার বেড়ার পাশে দাড়িয়ে শুরু হয় দুই দেশের মানুষের দেখা সাক্ষাৎ মতবিনিময়।কয়েক ঘন্টা সময় ধরে চলে স্বজনদের সাথে মনের মতো আলাপ আলোচনা করেন।সে সময় অনেকে কাটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে হাত ধরাধরি করে খাবার বিনিময় করে সময় কাটান তারা।দীর্ঘদিন পর স্বজনদের পেয়ে অনেকেই কান্না আনন্দে ভেঙে পড়েছিলেন।

উক্ত মেলায় হরিপুর থানা পুলিশ ও রানীশংকৈল থানা পুলিশ,বিজিবি,গ্রাম পুলিশ সহ স্থানীয় প্রতিনিধি গণ কড়া নিরাপত্তা জোরদার রাখেন।