স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোর ঝিকরগাছা পৌরসভার কীর্তিপুর ৫’নং ওয়ার্ড -এর সীমানার ভেতর এবং ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই অবস্থিত, ঝিকরগাছার প্রাণকেন্দ্র ঐতিহ্যবাহী পৌর কবরস্থান’টি।
আমার জানামতে শুধু যশোর জেলা নয়, খুলনা বিভাগের ভেতর নেই এমন কবরস্থান! এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি অনেক পুরাতন ও বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত।
ঝিকরগাছা ও ঝিকরগাছার আশেপাশের এলাকার মানুষ গুলির কেউ মারা গেলে ইসলামী রীতিনীতি মেনে এখানেই সমাধি তৈরি করে।
অতীতে এই ঐতিহ্যবাহী কবরস্থানটির অবস্থা ছিল অনেক করুন! বর্তমানে যিনি ঝিকরগাছা পৌরসভার পৌর মেয়র — জনাব মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল! আমার জানাটা যদি ভুল না হয়ে থাকে সময়’টা ছিলো বিশ'(২০) বছর আগের কথা, তিনি যখন প্রথম ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র হন! তখন ঝিকরগাছা বাসির প্রাণের দাবিতে তারি হাত দিয়ে, ঝিকরগাছার এই ঐতিহ্যবাহী কবরস্থান’টির অবকাঠামোর পরিবর্তন হয়! সে সময় এই স্থাপনাটি ছিলো নজর কাড়া দৃষ্টিনন্দন, এখনো বজায় আছে। সে সময় মেয়র মহোদয় মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল কবরস্থানটির অবকাঠামো তৈরীর জন্য বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হন।
তারপর থেকে প্রতি বছর কমপক্ষে একবার করে হলেও কবরস্থানটির সৌন্দর্য বজায় রাখতে এবং ঝিকরগাছা বাঁশি কবরস্থান’টি ব্যবহার করতে অর্থাৎ কেউ মারা গেলে কবর তৈরি করে কবর দিতে, যেনো কোনো অসুবিধা না হয়! সেজন্য কবরস্থানের চারী দিকে যে সীমানা প্রাচীর আছে সেটি দৃষ্টিনন্দন ভাবে বিভিন্ন রঙে রাঙানো এবং কবরস্থানের ভেতর বন জঙ্গল আগাছা পরিষ্কারের কাজ চলমান ছিলো। কিন্তুু সেগুলো এখন আর দেখা যাচ্ছে না।
বর্তমানে ঝিকরগাছার প্রাণকেন্দ্র এই ঐতিহ্যবাহী কবরস্থান’টির বেহাল দশা! পরিচর্যার অভাবে কবরস্থানটির ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় চারিদিকে ঘন জঙ্গল! কেউ মারা গেলে কবর দেওয়ার জন্য আসলে, কবরস্থানটির প্রবেশ গেট দিয়ে, প্রবেশ করেই কেউই বেশি দূর জায়না, গেটের মুখের আশেপাশে কবর খুঁড়ে মাটি দিয়ে চলে যায়। কবরস্থানটির প্রবেশের জন্য একটাই পথ এবং কবরস্থানটির কোনায় কোনায় যেতে না পারার কারণে তৈরি হচ্ছে সমস্যা। কবরস্থানটির ভেতরে জন্মেছে আগাছা পরগাছা বিশাল আকৃতির অনেক গাছ পালা! রাতের কথা না’ই বললাম, একটু বলি রাতে কারো কবর দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে, পর্যাপ্ত আলোর অভাবে কবরস্থানের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না, গেটের আশেপাশেই কবর খোড়ে, যেমন তেমন করে পুঁতে রেখে চলে যায়। সবকিছু মিলিয়ে কবরস্থানটির বর্তমান অবস্থা করুন এবং ভবিষ্যতে কবরস্থানটির ঐতিহ্য ও জায়গা সংকটের ইঙ্গিত বহন করে।
পরিশেষে বলতে চাই মাননীয় মেয়র মহোদয় কে, যে আপনার হাতে গড়া ঝিকরগাছার এই ঐতিহ্যবাহী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটির দিকে একটু নজর দিন। আগাছা বলেন আর পরগাছা বলেন, অপ্রয়োজনীয় গাছপালা বন জঙ্গল পরিষ্কার করুন এবং কবরস্থানটির ভেতরে কবর খুঁড়তে আসা মানুষগুলো যেন কবরস্থানটির কোনায় কোনায় পৌঁছতে পারে, সেজন্য কবরস্থানটির ভেতরে ইটের সলিং রাস্তা তৈরি করে কবরস্থান ব্যবহার করার পরিবেশ তৈরি করে দিন। এবং রাতের বেলায় কবরস্থানে কবর দেওয়ার জন্য আশা মানুষগুলোর সুবিধার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার বা রাখার জন্য। তাহলে আপনার হাতে গড়া এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি পূর্বেররূপে ফেরত ও ভবিষ্যতে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটির ঐতিহ্য ও জায়গার সংকটের কোন জটিলতা তৈরি হবে না বলে আমার মনে হয়।
সার্বিক দিক বিবেচনা করে অতি দ্রুত সকল জটিলতার, সমস্যার সমাধানের জন্য উদ্যোগ বা
ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এই অনুরোধ শুধু একার আমার নয়। এটা ঝিকরগাছা বাঁশির,
এটা ভুক্তভোগী সকলের দাবি।