
ওমর ফারুক
স্টাফ রিপোর্টার
নেত্রকোনায় চলছে অনুমোদনবিহীন অবৈধ করাত-কলের রমরমা ব্যবসা। সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের অনুমোদন বা ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে চলছে এসব স’ মিল (করাত কল)। ঐ সব স’ মিলের মাধ্যমে প্রতিদিন শত শত গাছ কাটা হচ্ছে। লাইসেন্স না থাকায় করাতকল মালিকরা গাছ কেনা বেচার ক্ষেত্রে কোন বিধি নিষিধ মানছে না। অবাধে কনিছেন গাছ। ফলে একদিকে বেড়েই চলেছে অবাধে বৃক্ষনিধন। অন্য দিকে প্রতিনিয়ত হুমকীর সস্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ।এছাড়াও শব্দ দূষণ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি শিকার হচ্ছে আশেপাশে বসবাসরত মানুষ।নেত্রকোনা বন বিভাগের তথ্য সূত্রে জানা যায়,নেত্রকোনা জেলায় মোট ‘স’ মিল রয়েছে ৩২৯টি ত্রর মধ্যে করাতকলের লাইসেন্স রয়েছে ৬০ টির অবৈধ ২৬৯ যার মধ্যে ১৬৪ লাইসেন্সর জন্য আবেদনকৃত বাকি গুলো অবৈধ।প্রতি বছরেই নতুন নতুন স মলি বৃদ্ধি পাচ্ছে তবুও কোন পদক্ষপে নিচ্ছে না প্রশাসন ।বেশির ভাগ মিল মালিকদের সাথে কথা বললে তারা বলে, স’মিলের সব কাগজপত্র করেছি।অনকেইে আবার বলেন,নিবন্ধনের জন্য ৫-১০ বছর আগে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও অনেকেই স’মিলের কোন লাইসেন্স পাইনি। ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এসব স’মিলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।নেত্রকোনা জেলার বন বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, লাইসেন্স বিহীন করাতকল করলে তার বিরুদ্ধে ২ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২ মাস থেকে ৩ বছরের জেল জরিমানার বিধান রয়েছে।তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে এক মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮০ আবেদনকৃত করাতকল (স’মলি) প্রত্যেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার তদারকিতে তদন্ত প্রতিবেদন দিবেন।কিন্তু কেন্দুয়ার ২২ টি তদন্ত দিলে ও অন্য উপজেলা থেকে কোন তদন্ত প্রতিবেদন এখনও দেননি।করাতকলের ছাড়পত্র বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিসার পারভের আহমেদ উপরোক্ত কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কোন সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না বলে জানান।এদিকে জেলার ফায়ার সার্ভিসের ও সিভিল ডিফেন্স এর ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে সরকার প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু কিছু মানুষের অসচেতনতার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে বড় বড় ঘটনা।নেত্রকোনায় কিছু করাতকলের মিলে ফায়ার লাইসেন্স অনুমোদন তাকলেও বেশিভাগ মিলগুলোতে নেই।ফায়ার লাইসেন্সের আইন ২০০৩ অনুযায়ী তাদের তিন বার নোটিশ সহ আইনগত ব্যবস্থা ও জরিমানা করা হবে।