সম্পাদক

আবদুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার:

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিল থেকে দিবারাত্রী চলছে ফসলী জমির টপসয়েল কর্তনের মহোৎসব। এক শ্রেনীর দুর্বৃত্তরা এই কাজে জড়িত।

ডজনাধিক (এক্সেভেটর) ও একাধিক ডাম্পার ট্রাক নিয়ে রাতদিন সমানতালে চলছে জমির টপসয়েল কর্তন। এতে ক্ষতবিক্ষত ও বিরানভূমিতে পরিণত হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে শষ্য ভান্ডার খ্যাত ধমকা বিল। ক্রমাগত টপ সয়েল কাটার ফলে জমির উর্বরা শক্তি কমে যাওয়ায় শষ্য উৎপাদন কমে যাবে বলে জানান কৃষকরা। এতে এতদাঞ্চলে খাদ্য ঘাটতির আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

দেখা যায়, উপজেলার জালালাবাদ ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলের নানা পয়েন্টে একাধিকটি এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। মাটি নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রায় শতাধিক ডাম্পার। ঈদগাঁও রাবারড্যাম রাস্তার মাথার অদুরবর্তী বিল ও পালাকাটা রেলক্রসিংয়ের পশ্চিমে এক্সেভেটর দিয়ে টপসয়েল কেটে নিচ্ছে। এছাড়াও দক্ষিণ লরাবাক-মোহনবিলা সংযোগ সড়কের দু’ পাশের বিলে এক্সেভেটর দিয়ে টপসয়েল কাটা হচ্ছে। টপ সয়েল কেটে নেয়ায় শষ্য ভান্ডার খ্যাত ধমকা বিল পরিণত হচ্ছে বিরাণ। অন্যদিকে ঈদগাঁও ইউনিয়নের মেহেরঘোনাসহ বিমান মৌলভীর ব্রিকফ্রিল্ডের অদূরে মাইজপাড়া হয়ে মেহেরঘোনা আসার নতুন রাস্তা পয়েন্টে ব্যাপক হারে কাটা হচ্ছে ফসলী জমির উপরিভাগ। এভাবে টপসয়েল লুটের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। কিন্তু কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে রাতেও শক্তিশালী ফ্লাডলাইট জালিয়ে টপসয়েল কাটা অব্যাহত রেখেছেন দেদারছে।

ফসলী জমি থেকে দিনরাত কেটে নেয়া এসব টপ সয়েল ডাম্পার ট্রাকযোগে নেয়া হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, আইনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকালয়ের মাঝে ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার পাশে আবাদী জমিতে টপসয়েল কাটার মহোৎসব চলছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যগত হুমকি সৃষ্টি করলেও সবসময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে টপসয়েল কর্তন কারীরা।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মতে, ফসলী জমি থেকে টপসয়েল কাটা বন্ধ করতে এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। টপসয়েল কাটা বন্ধে ফের অভিযান পরিচালনা করা হবে।