ক্রীড়া প্রতিবেদক:

শীতের তীব্রতায় পুরো দেশই কাঁপছিল কয়েকদিনের জন্য, এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ।বাংলাদেশে এসে কেমন অভিজ্ঞতা, সেটি জানাতে গিয়ে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ম্যাথু ওয়াল্টার ফোর্ড নিজেই টেনে আনলেন শীত প্রসঙ্গ,

ক্যারিবিয়ান জীবনের চেয়ে বাংলাদেশ যে আলাদা, তাও অল্প ক’দিনেই টের পেয়ে গেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলতে আসা এই ক্রিকেটার।দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরেছে তার দল, ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ফোর্ড ছিলেন উইকেটশূন্য।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে মাত্র একটি করে ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটারকে কি লম্বা সময়ে সাহায্য করবে বাংলাদেশ ও বিপিএলের অভিজ্ঞতা?উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাকে প্রথম ব্যাপার যেটা শিখতে হচ্ছে, কীভাবে ঘুমাতে হয়।কয়েকদিন ধরে আমার ঘুম হচ্ছে না, টাইম জোনের কারণে এটা কঠিন হয়েছে।আগেও যেমন বলেছি, এটা আলাদা চ্যালেঞ্জ। এখানে এশিয়ার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও। ক্যারিবীয়ানের থেকে এখানে একদমই আলাদা।

আমার এখানে এসে দুইটা জ্যাকেট পরতে হয়েছে, এমন কিছুর প্রত্যাশা করিনি। তবে এখানে আসতে পেরে খুশি আমি। ’এবারই প্রথম এশিয়ার কোনো দেশে এসেছেন ফোর্ড। ক্যারিবিয়ান থেকে যে এই অঞ্চলটা একদমই আলাদা, সেটিও বুঝতে পারছেন। কেবল টাইম জোনই নয়, খাবার, সংস্কৃতি সবকিছুই ভিন্ন।

এই চ্যালেঞ্জটা কেমন ফোর্ডের জন্য? তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা নেওয়া একটা ব্যাপার, আমি যেমন বলেছি, এটা সহজ না, আর খাবারের ব্যাপারটা হচ্ছে এখনও মানিয়ে নিতে পারিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে নিচ্ছি। আমি এখানে এসে ভালো অনুভব করছি।

এখানকার মানুষ ও সংস্কৃতি খুব সুন্দর। ’গত বছরের শেষদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ফোর্ড। এর কিছুদিন পরই টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে তার।

অভিজ্ঞতা অবশ্য খুব একটা ভালো নয়, ৩ ওভারে দেন ৫৪ রান, এ বছরের মাঝমাঝিতে ক্যারিবিয়ানেই হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওখানে খেলার জন্যও কি বিপিএলে চোখ থাকবে ফোর্ডের? তিনি বলেন, ‘আমার জন্য ক্রিকেট খেললে কোথায় আছি সেটা কোনো ব্যাপার না। আমি যেখানেই ক্রিকেট খেলি, আনন্দে থাকি।

এটা আমার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ, প্রথমবার বাংলাদেশি এসেছি, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, আমার সামনে থাকা সব চ্যালেঞ্জ উতরে যাওয়ার দিকেই তাকিয়ে আছি।

.

Loading