নিউজ ডেস্ক:
কোটা সংস্কার নিয়ে চলমান আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এমনটাই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এজন্য তিন সদস্যের একটি কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে।
যেখানে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে গণভবনে এটি জরুরি বৈঠক হয়েছে। যেখানে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুর নাহার চাপা, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
এ সময় বৈঠকে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে জানা গেছে, আগে থেকেই দলটি (আওয়ামী লীগ) থেকে বলা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে তারা একমত। এরই মধ্যে তাদের দাবি মেনে কোটা সংস্কার করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনায় সঠিক তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এর সঠিক বিচারও হবে।
বৈঠকে নেতারা বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি নেই। তারা আন্দোলন করছে করুক। তবে তৃতীয় পক্ষ যেন তাদের ব্যবহার করে সুবিধা আদায় না করতে পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। শিক্ষার্থীদের ওপর কেউ যেন কোনো অন্যায় আচরণ না করে, সে নির্দেশনাও দিয়েছেন।বৈঠকের বিষয়ে জানা গেলেও আন্দোলনকারী সমন্বয়কদের সঙ্গে কিভাবে বা কখন বসবে সে বিষয়ে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। আবার আওয়ামী লীগের আলোচনার সিদ্ধান্তের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা একমত হবেন কিনা সে বিষয়েও কোনো মতামত জানা যায়নি।