নিউজ ডেস্ক:

চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে জাতীয় পার্টি তাদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। 

সেসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের এমপি বিগত বাজেট অধিবেশনের সমাপনী দিনে কোটা সংস্কারের পক্ষে বিশদভাবে বক্তব্য রেখে কোটা সংস্কারের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রাথমিকভাবে মেনে না নিয়ে ছাত্রলীগ দিয়ে বলপূর্বক আন্দোলন দমানোর উদ্যোগ নেয়। 

পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাতে ২৭০ জনেরও বেশি নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা প্রাণ হারায়। ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা যায়। পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্র-জনতা হত্যা করে পরে সেই মামলায় ছাত্র-জনতাকেই আসামি করে।

শনিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, কোটা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সমন্বয়কদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করে রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। হেফাজতের নামে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয় সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়, যা কোনো আইনেই সমর্থনযোগ্য নয়। 

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের ওপর নির্যাতন করা হবে না বলা হলেও বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, ছররা গুলি, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলি, সাউন্ডগ্রেনেড, বহুতল ভবন এবং হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশ যৌথভাবে ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করে, যা এখনো চলমান। ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ ২০ হাজারের অধিক ছাত্র-জনতাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। জাতীয় পার্টি এই আন্দোলনে গ্রেফতার সব ছাত্র-জনতার মুক্তি দাবি করে।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এ অবস্থায় দেশে কোটা সংস্কারের চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে যে নয় দফা দাবি পেশ করা হয়েছে, তার প্রতি জাতীয় পার্টি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছে। এছাড়াও অবিলম্বে নয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।