আহসানুল হক নয়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগ নেতা এলেম খাঁকে গ্রেফতারের জের ধরে সদর উপজেলার বড়হরণ গ্রামে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুুপুরে হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানান, নাটাই দক্ষিন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এলেম খাঁ ও তার সমর্থকরা বিভিন্নভাবে বড়হরণ গ্রামে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। সম্প্রতি পূর্ব বিরোধের জের ধরে এলেম খাঁর নির্দেশে স্থানীয় যুবদল নেতা আশিকের উপর হামলা চালিয়ে মারধোর করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে গত পহেলা সেপ্টেম্বর আশিকের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা এলেম খাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এলেম খাঁকে গ্রেফতারে ওই গ্রামের স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সহযোগীতার অভিযোগ এনে তার সমর্থক শাহিনুর, এরশাদ ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন বড়হরণ গ্রামে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ১০/১২টি বাড়িঘর ভাংচুর করে। হামলায় নারী-পুরুষ,শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় বিএনপি কর্মী উমেদ হাসান জানান, আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলেও গ্রামে আধিপত্য ধরে রাখার জন্য এলেক খাঁর ও তার সমর্থকরা প্রভাব বিস্তার করে আসছে। মূলত আওয়ামীলীগ সরকার অপসারণ হবার পর তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকে আধিপত্য কায়েম করতে তার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়েছে। এ সময় অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও তারা লুটপাটও করেছে। আহতরা হলেন নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ গ্রামের নূরুল ইসলাম (৫০), এমরান মিয়া (২৬), আল মামুন (২০), শাহাবুদ্দিন (৪৫), সাহেদ মিয়া (৩০), সাঈদ মিয়া(১২), জুবেদা খাতুন (৫০), রোমা আক্তার ও রত্মা বেগম। গুরুতর আহত নূরুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

বড়হরণ গ্রামের কাউসার মিয়ার স্ত্রী মোসাম্মত রেখা বলেন, এলেম খাঁর বিরুদ্ধে মামলার পর থেকে গ্রামে উত্তেজানা বিরাজ করছে। তার কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন সময়ে বাড়িঘরে এসে হামলা করে। দুপুরে তাদের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে ঢুকলে আমরা প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র সরে যাই। আমরা নিরাপত্তা চাই। আমরা ছেলে- মেয়ে নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছি। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফ্ফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।