
মোস্তাফিজার রহমান
বসত বাড়ির পাশে উঁচু জমিতে পদ্ধতিতে ৫০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি কুমড়ো ও কলা চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা গ্রামের কৃষক সোহরাওয়ার্দী মিয়া। তিনি বাংলাদেশ সস্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্টের (এসএসিপি-রেইনস), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ৫০ শতাংশ জমিতে কলা চাষ ও মালচিং পদ্ধতিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছে।
কৃষক সোহরাওয়ার্দী মিয়া জানান, আমি যে জমিতে ধান চাষ করেছি খরচের তুলনায় প্রতিবারে লোকসান হয়েছিলো।বড়ভিটা ব্লকের কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলমের মাধ্যমে আমি আমার ৫০ শতক জমিতে কলা চাষ ও মালচিং পদ্ধতিতে কলা খেতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করি। বসতবাড়ির আশেপাশের জমিতে উচ্চমূল্য ও পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল ও সবজি বাগান প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের এ পদ্ধতিতে আগ্রহী গড়ে তুলছেন সোহরাওয়ার্দী মিয়া। কলাগাছ বড় হয়েছে চেহারা ভালো, আর মিষ্টি কুমড়ার গাছে ফুল এবং ফলও এসেছে অনেক। আশা করছি কলা গাছের যে খরচ হবে সে খরচ মিষ্টি কুমড়া থেকে উঠে আসবে।
কৃষক সোহরাওয়ার্দী মিয়া জানান,সোহরাওয়ার্দী মিয়া জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে কলা চাষ করেছি এবং মালচিং পদ্ধতিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি, কলা গাছের চেহারা খুব ভালো এবং মিষ্টি কুমড়ার ফুল ও ফল এসেছে অনেক, মোটামুটি লাভবান হব।
উপসহকারী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান,আমার বড় বেটা বল ওকে সুখ সোহরাওয়ার্দী মিয়াকে ৫০ শতক জমিতে কলা চাষ করার জন্য ছাড়া ও হার কীটনাশক দেয়া হয়েছে পাশাপাশি মালচিং পদ্ধতিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষও করেছে এ বিষয়ে আমি ভালো ফলনের জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন জানান, ২০২৪ ও ২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষককে ৫০ শতাংশ জমিতে চারা দিয়ে চাষ উদ্বুদ্ধ করছে, এবং কৃষককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।