নিউজ ডেস্ক:

গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে নতুন অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরুর ঘোষণা আসে ।

সে সময় ব্রাসেলসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ইইউর গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম চলাকালে এ আলোচনা শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন ইউরোপিয়ান কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইনে। আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্ভাব্য এ চুক্তি নিয়ে প্রথম আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশে বিরাজমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সে আলোচনা স্থগিত করেছে ইসি।

ইসি বলছে, বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ আলোচনা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থাটির মুখপাত্র নাবিলা মাসরিলা বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির প্রথম দফা আলোচনা হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে এটি স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী দিনক্ষণ এখনো ঠিক করা হয়নি।

ইইউর পররাষ্ট্র বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেল ফন্টেলেসের গত ৩০ জুলাই প্রকাশিত বিবৃতিটিই এ বিষয়ে ইসির বর্তমান অবস্থান।’ প্রসঙ্গত, ৩০ জুলাই প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে জোসেফ বোরেল কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগের অভিযোগ এনে এ ঘটনার নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষের ঘোষিত শ্যুট অ্যাট সাইট নীতি এবং বেআইনি হত্যাকাণ্ডের ঘোষণায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঘটা নিয়মবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সহিংসতা, অত্যাচার, গণগ্রেফতার ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাই।

এছাড়া আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের নিহত হওয়া, সহিংসতা, নির্যাতন, গণগ্রেফতার ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতিসাধন নিয়েও আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’