গাজী ইসমাঈল ভাঁওয়ারী, বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, ইসলাম কোন ধরনের সহিংসতা, নাশকতা ও ভাঙচুরের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।
তবে মুসলিম রাষ্ট্রের প্রকৃত স্বাধীনতা এবং প্রতিটি ইঞ্চি মাটি ও সম্পদ রক্ষা করা ঈমানী দায়িত্ব। দেশের চলমান অচলাবস্থায় বাংলাদেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। দেশে বর্তমানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিপন্ন। নিরস্ত্র শিক্ষার্থী ও স্বাধারন মানুষ তাদের ট্যাক্সের টাকায় কেনা অস্ত্রের আঘাতে হতাহত হচ্ছে, যা অকল্পনীয়, এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এহেন অমানবিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদেরকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি অবিলম্বে গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
৩১ জুলাই বুধবার বিকালে বাংলাদেশ খেলাফত যুব আন্দোলনের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা হাফেজ ক্বারী সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মুফতি আল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা ইলিয়াস মাদারীপুরী, মুফতি আব্দুস সালাম, মুফতি আমানুল্লাহ বসন্তপুরী, মুফতি তরিকুল ইসলাম, মাওলানা আফফান ইসলাম, মাওলানা ওমর ফারুক, এডভোকেট আমিনুল ইসলাম, মুফতি নাদিম আহমদ, মুফতি ফয়সাল আহমদ, মাওলানা ফারহান বিল্লাহ, মাওলানা ইমাম হোসেন, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন প্রমুখ।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, সরকারের কাছে মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই। জনগনের জানমাল রক্ষায় সরকার ব্যর্থ। সরকারের কতিপয় মন্ত্রী কর্তৃক ভিন্ন মতের মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও দায়িত্বশীলদের উস্কানি মূলকবক্তব্য জনমনে ক্ষোভের দাবানল সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে সারা দেশে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়েছে। সরকারকে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ভাষা বুঝতে হবে। অন্যথায় আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, চলমান ছাত্র আন্দোলনে সরকারের প্রতি জনগণের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। জনৈক মন্ত্রী বলেছেন – ধর্মান্ধগোষ্ঠী দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে ।ধর্মান্ধ বলে মন্ত্রী কাদেরকে বুঝিয়েছেন জনগন জানতে চায়। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সরকার দলীয় ছাত্র লীগকে আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্রদের দমনে লেলিয়ে দিয়ে দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এবং অসংখ্য নিরীহ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীকে হত্যা করে রক্তাক্ত ইতিহাস সৃষ্টি করছে। আমার আশংকা দেশের এ বিরাজমান পরিস্থিতি আরো কিছুদিন বহাল থাকলে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিকেও হার মানাবে।
সভাপতির বক্তব্যে মুফতী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। টানা অচলাবস্থায় দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দেশ ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে।