নিউজ ডেস্ক

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে সদর উপজেলা গোমতী বেরিবাঁধের গোমতী বিলাস নামক এলাকা থেকে তৌহিদুলকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত তৌহিদুলের ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপু দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে তৌহিদুলকে যৌথবাহিনীর পোশাকে ও সিভিল পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায়। তার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।

পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ২টায় পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুলকে যৌথবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পর দিন সকালে পুলিশ ফোন করে জানায়, তৌহিদুল আহত অবস্থায় গোমতী নদীর পাড়ে পড়ে আছে। সেখান থেকে পুলিশ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তৌহিদুল কুমিল্লা আদর্শ সদর পাঁচথুবী ইউনিয়ন ইটাল্লা সরদার বাড়ি মোখলেছুর রহমান সরদারের ৩য় ছেলে। তার ৪ মেয়ের মধ্যে দুই জন কোরআনের হাফেজ। নিহত যুবক চট্টগ্রাম আরকু কোম্পানি লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন। তৌহিদুল ইসলামের বাবা মারা যান, গত ২৬ জানুয়ারি। তার কুলখানি ছিল শুক্রবার। এর আগেই তৌহিদুলের লাশ উদ্ধার হল।

তৌহিদুল ইসলামের ভাই আবুল কালাম আজাদ টিপু বলেন, গতরাত আড়াইটায় যৌথবাহিনীর পোশাকে ও সিভিল পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যায় । শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় যৌথবাহিনী আমার ভাইকেসহ আরেকজনকে নিয়ে বাড়িতে এসে এক ঘণ্টা যাবৎ বাড়ির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির পরে কোনো অস্ত্র না পেয়ে আমার ভাইকে আবারও তারা নিয়ে যায়।

‘দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ আমাদেরকে ফোন করে বলে গোমতী বিলাসের কাছে আমার ভাই পড়ে আছে আহত অবস্থায়। আপনারা হসপিটালে আসেন আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা প্রথমে কুমিল্লা সদর জেনারেল হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাই। চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে রেফার করে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে আনার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।’

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, তৌহিদুল ইসলাম খুব ভালো মানুষ ছিলেন, ধার্মিক ছিলেন।  পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের কারণে তার পাশের বাড়ির লোকজন অভিযোগ করে। এই কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তৌহিদুল ইসলামের লাশের উপর নির্যাতন হয়েছে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।